শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে কমলনগরের মাতাব্বরনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের দক্ষিণের অংশ ধসে পরেছে। এতে বাঁধের প্রায় ১শ’ মিটার নদীতে ধসে পড়েছে।
এর আগে দুপুরে তীর রক্ষা বাঁধে ধস নামে। একইভাবে কয়েক দিন পরপর নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে
জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তীর রক্ষা বাঁধে নদীর ভেতরে ৪৫ মিটার জিও ব্যাগ (বালু ভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ও ব্লক যথাযথভাবে ডাম্পিং না করে বাঁধ নির্মাণ করে। এছাড়াও নিম্নমানের বালু ও জিও ব্যাগ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে জুন মাসের শেষের দিকে বাঁধে প্রথমবার ধস নামে। এরপর ২৬ জুলাই ফের ধস নামে। পরবর্তীতে আগস্ট মাসেও আবার ধস নামে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকে বাঁধ নির্মাণ কাজ অনিয়মের মধ্যে হয়ে আসছে। যথাযথ বালু ও জিও ব্যাগ ব্যবহার না করে নিম্নমানের ব্যবহার করায় এ নিয়ে চারবার তীর রক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে। এছাড়াও অন্যত্র থেকে মাটি সংগ্রহ করে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করায় বার বার নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধস নামছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এজিএম মাসুদ রানা বলেন, নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। তীব্র জোয়ারও আছে। ভাটার টানে বাঁধে কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমারা দ্রুত বলুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছি। আশা করছি বাঁধ এখন ঝুঁকিমুক্ত।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
** কমলনগরে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধে ধস
** কমলনগরে মেঘনা তীর রক্ষা বাঁধে ফের ধস
** কমলনগরে ভাঙন রোধে নিম্নমানের বালুতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এমআরএম/এসআরএস