নাড়ু-তকতি বানানোর ধুম
দুর্গাপুর, নেত্রকোনা ঘুরে : ‘বছর ঘুরে মর্তে আসবেন মা। প্রতিদিন তো আর আসেন না সুতরাং বসে থাকলে কি চলে? কতো কাজ রয়েছে হাতে। এখনো কতো খাবার বানানো বাকি! দুধের নাড়ু, চিনির নাড়ু, গুড়ের নাড়ু, তিলের নাড়ু, নারকেল নাড়ু, নারকেল তকতি, মুড়কিসহ আরও কতো কি... ’
এভাবেই পূজার আয়োজনে নিজেদের ব্যস্ততার সারসংক্ষেপ বাংলানিউজের সামনে তুলে ধরলেন নেত্রকোনার দুর্গাপুরের চণ্ডিগড়ের মানব কল্যাণকামী অনাথালয়ের পরিচালক নিশা দেবী।
নিশা বলেন, ‘শতাধিক অনাথ ছেলে-মেয়ের কোমল হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে পূজার নানা রকম সুস্বাদু সব খাদ্য।
কারো বসে থাকার সময় নেই এখন। দলবেঁধে ছেলে-মেয়েরা কারুকাজ করে নানারকম নাড়ু, সন্দেশ আর তকতি তৈরি করছে। শুধু দুর্গাপুরই নয়। জেলার ৪৫৫টি পূজামণ্ডপের পূজারী বা ভক্তদের বাসাবাড়িতে চলছে নাড়ু, তকতি বানানোর ধুম। কারো পূজামণ্ডপ কিংবা ঘরে গিয়ে নয়, প্রকৃতির বাতাসেই বলে দিচ্ছে পূজার সময় সব খাবার তৈরির খবর। ’
শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার ‘চলো পূজা করি’ উদযাপন কমিটির সভাপতি আইনজীবী মানবেন্দ্র বিশ্বাস উজ্জ্বল ও তার সহধর্মিনী বনানী রাণী বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘পূজায় বিশেষ করে নানারকম নাড়ু, সন্দেশ বা তকতি বানানো হিন্দুদের প্রাচীন রীতি রেওয়াজ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এনটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।