শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোর্শেদুল আলম জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা বয়কট করেছি।
জানা যায়, গত ৮ মে স্থানীয় ৯ নং খাগডহর ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগের ওপর হামলা করে সাবেক ইউপি সদস্য আবু সাঈদ বাদলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে ওইদিনেই বাদলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
কিন্তু মামলা দায়েরের পরেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে না পারায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয় লোকজন সাবেক ইউপি সদস্য বাদলের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। এ ঘটনায় সোহাগকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় পুলিশ চেয়ারম্যান সোহাগকে এক নম্বর আসামি করে চার্জশিট দেন।
চেয়ারম্যান সোহাগ জানান, ভাঙচুরের ঘটনার দিন আমি সদর উপজেলার আরও ১২ জন ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম আহমেদ সেই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমান সেদিন উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। আমি সেদিন তার সঙ্গেও ছিলাম। এরপরও আমাকে এক নম্বর আসামি করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও আকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বাদল চারটি হত্যা মামলার আসামি এবং গরুচোর। চেয়ারম্যান সোহাগকে আসামি করে বাদলের দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার না হলে আমরা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা বয়কট করবো।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম আহমদ বাংলানিউজকে জানান, ইউপি চেয়ারম্যানদের এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জেলা প্রশাসনকে সেদিনের সভার রেজুলেশন দাখিল করে ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এমএএএম/আরআইএস/