রঙ আর তুলির আঁচরে শেষ রূপায়নের কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পিরা। বোধনের মধ্যে দিয়ে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দেবী দর্শন দিবেন তার অজস্র ভক্তকে।
ঢোলে পড়বে কাঠি। ধুপ-ধুনুচি আর ঢাকের তালে ক’দিন পরেই মেতে উঠবে রাজশাহীর প্রতিটি পূজা মণ্ডপ। এরই মধ্যে দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে মণ্ডপ সাজানো ও নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
রাজশাহী হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, এবার দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে পিত্রালয় বসুন্ধরায় আসছেন নৌকায় চড়ে। যাবেন ঘোটকে চড়ে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৬ সেপ্টেম্বর বোধনের মধ্যে দিয়ে শারদীয় শুরু হবে।
বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। একটি বছরের জন্য ‘দুর্গতিনাশিনী’ দেবী ফিরে যাবেন কৈলাসের দেবালয়ে। তবে এবার ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র আশুরা হওয়ায় ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাই সব মণ্ডপেই এখন প্রস্তুতি চলছে। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে প্রতিমা ও প্রত্যেকটির বিভিন্ন অনুষঙ্গ তৈরি, নিখুঁতভাবে কাজ ফুটিয়ে তোলা এবং রঙয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে প্রতিমা শিল্পীদের। দু’দিনের মধ্যে প্রতিমা সংশ্লিষ্টদের বুঝিয়ে দিতে হবে।
রাজশাহী মহানগরীর শেখেরচক এলাকার প্রতিমা নির্মাতা কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, আষাঢ়ের ৯ তারিখ থেকে তারা প্রতিমা তৈরি শুরু করছিলেন, কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু প্রতিমাগুলোর নকশা ঠিক করা হচ্ছে।
আগামী দু’দিনের মধ্যেই দুর্গা প্রতিমাগুলোতে চূড়ান্ত রঙ লাগিয়ে পোশাক-পরিচ্ছদে সুসজ্জিত করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সরদার তমিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা সৌহার্দ্যের সঙ্গে ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য এবার তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থ গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘পূজা শুরু প্রথম দিন থেকে প্রতিমা বিসর্জনের দিন পর্যন্ত পুলিশ সর্তক অবস্থায় থাকবে। এছাড়া আসন্ন দুর্গাপূজায় নগরীর মণ্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা ও আতশবাজি, পটকা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এসএস/এমএ