শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা তাদের একবেলা রোজগারের মোট ১৭৩ টাকা স্থানীয় একটি সংগঠনের রোহিঙ্গা সহায়তা তহবিলে জমা দেন।
উল্লেখিত সাত ভিক্ষুক হলেন- এনায়েতপুরের জালালপুর এলাকার জয়নাল আবেদিন ফকির, বাঁশরাড়িয়ার অন্ধ নুর হোসেন, আজুগড়ার অন্ধ সোহরাব, গোপালপুরের ইউনুছ পাগলা, আড়কান্দি চরের অন্ধ মুল্লুক ওরফে চান কানা, বাহ্মনগ্রামের হান্টু ফকির ও শাহজাদপুরের জগতলার ল্যাংড়া আক্কাছ।
তারা জানান, তারা নিজেরাও অসহায়, প্রতিবন্ধী। কোনো কাজকর্ম করার ক্ষমতা নেই। তাই তারা এক সঙ্গে এনায়েতপুর ফকিরাপুল সেতুর ওপর বসেই ভিক্ষা করেন। বিগত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্ভোগের কথা মানুষের মুখে শুনে তারা মর্মাহত হন। শুক্রবার রাতে তারা জানতে পারেন যে এনায়েতপুর থেকে একটি সংগঠনের উদ্যোগে টাকা সংগ্রহ করে রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে তারা সাধ্যমতো টাকা দিয়ে মোট ১৭৩ টাকা জোগাড় করেন। দুপুরের দিকে উদ্যোক্তা সংগঠনটির কর্মকর্তা স্বপন মির্জার হাতে ওই টাকা তুলে দেন তারা।
এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা সহায়তায় অর্থ সংগ্রহকারী সংগঠনটির সভাপতি আখতারুজ্জামান তালুকদার ও সাংবাদিক স্বপন মির্জা বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সহায়তা তহবিল করেছি। অনেক দানশীল ব্যক্তি তহবিলে সাধ্যমতো দান করছেন। তবে আমরা মনে করছি ভিক্ষুকদের দেয়া ১৭৩ টাকা অনেক বৃহৎ দান। আমরা আনন্দচিত্তে তাদের এ অনুদান নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এসআই