তাই ভক্তরা দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে কোনো কমতিই রাখছেন না। শারদীয়া উৎসবকে সর্বোচ্চ আনন্দগণ করে তুলতে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে অবস্থিত দুর্গাপূজার অস্থায়ী মণ্ডপে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে অবস্থিত ধানমন্ডি সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে গিয়ে এই প্রস্তুতি দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মণ্ডপ প্রাঙ্গণে এদিক থেকে ওদিক ছুটছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করা হচ্ছে দেবীদুর্গার মণ্ডপের কাজ। মণ্ডপের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। মণ্ডপের বাহিরে দেয়ালে লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন দেবী দেবতাদের ছবি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধর্মী আকারা আকৃতি তৈরি করতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
তাছাড়া সারা মাঠ জুড়ে করা হচ্ছে বিভিন্ন রকম আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। মণ্ডপের ভেতরেই চলছে দেবী দুর্গার প্রতিমা বানানোর কাজ। বেশ কয়েকজন শিল্পী দুর্গা প্রতিমার তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ সারতেও দেখা গেছে।
অন্যদিকে মণ্ডপ প্রাঙ্গণে কেউ করছেন প্রদীপ পরিষ্কার আবার কেউ ঘষে মেজে চকচকে করছেন ধূপতি। আগামী মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে মর্তে আগমন ঘটবে দেবী দুর্গার। ২৭ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী পূজা এবং এর পরদিন মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী ও ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
পূজার এই ৫ দিন বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পূজা উদযাপন করা হবে বলে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ সব অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পূজা চলাকালীন ৫ দিন প্রায় ৩০-৩৫ হাজার ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হবে।
পূজা উদযাপন কমিটির প্রসাদ বিতরণ শাখার জয়েন্ট কনভেনার উত্তম কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, কলাবাগান মাঠের দুর্গা পূজা প্রতিবারই সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। আশা করি এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। আমরা দুর্গা পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে ইতি মধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছি। এখন শুধু সাজসজ্জার কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এমএসি/বিএস