স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলছেন, গত দুইমাস ধরে রাস্তাটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পুরো গলির রাস্তা কেটে রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তা কেটে ওই সড়কে পাইপ বসানো হচ্ছে। ফলে নবাব কাটরা থেকে নিমতলী হয়ে আগামাসি লেনের শেষ মাথা পর্যন্ত বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বাজারসহ নিত্যদিনের কাজে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয়রা। রিকশা চলাচল না করায় শিক্ষার্থীদের দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হচ্ছে পায়ে হেঁটে। বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে দুর্ভোগের অন্ত নেই।
নবাব কাটরার বাসিন্দা সারোয়ার জাহান বাংলানিউজকে বলেন, দুইমাস ধরে মহাবিপদে আছি। রিকশায়ও যাবার পারি না, হেঁটেও পারি না। কি কাজ করে যে দুই মাসেই শেষ হয় না! আর কত দিন এভাবে চলতে হবে কে জানে?
রাস্তা কাটার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদা আর পানিতে একাকার হয়ে যায় নবাব কাটরার গলি। পয়ঃনিষ্কাশনের পানি আর বৃষ্টির পানি এক হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ।
তবে সহসাই এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না নবাব কাটরা এলাকার বাসিন্দারা। কারণ এখনও পাইপ স্থাপনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। পাইপ স্থাপনের কাজ শেষ হতেও চলতি মাস পার হয়ে যাবে। এরপর শুরু হবে রাস্তা সংস্কারের কাজ।
সেটিও আশাপাশের সব গলির পাইপ লাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর। তাই বলাই যায়, সহসাই এই অবস্থার অবসান ঘটছে না।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ( ডিএসসিসি) অঞ্চল-৪ নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পুরো প্যাকেজের কাজ, শুধু নবাব কাটরা নয়, আশাপাশের সব গলির রাস্তায় কাজ চলছে। পাইপ স্থাপনের কাজ শেষ হলে যতদ্রুত সম্ভব এই রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হবে।
ঠিক কতদিনের মধ্যে শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময় বলা যাচ্ছে না। তবে যতদ্রুত সম্ভব ঠিক হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এসএম/এমএ