ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মানুষের সেবায় ফিরতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত ডা. নুরুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
মানুষের সেবায় ফিরতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত ডা. নুরুল

গোপালগঞ্জ: মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ডা. মো. নুরুল ইসলাম (২৮)। গত ডিসেম্বর থেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি বিছানায় শুয়ে থেকে দিন কাটাচ্ছেন।

ডা. মো. নুরুল ইসলাম গোপালগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গী রোডের ব্যবসায়ী মতিনুর রহমানের একমাত্র ছেলে। তার মা শহরের আলীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাছিমা খানম।

২০১২ সালে বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ থেকে পাশ করার পর মো. নুরুল ইসলাম ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজে চাকরি শুরু করেন। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে তার শরীরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রথমে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে ছয় মাস চিকিৎসা করা হয়। পরে ভারতের কোলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টার থেকে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। পরে তাকে নিয়মিত চেকআপ করানো হয়। গত ডিসেম্বরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলের হেমাটোলজি বিভাগে প্রফেসর ডা. এম.এ খালেকের তত্ত্ববধানে ভর্তি করা হয়। তিনি চিকিৎসার পর তাকে জাপান নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে আবারও কোলকাতা নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ইউরোপ, আমেরিকা অথবা জাপান নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন।

নুরুল ইসলামের ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসায় পরিবারের পক্ষ থেকে স্বজনদের সহায়তায় অন্তত ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের পক্ষ  থেকে তাকে এখনো ইউরোপ, আমেরিকা বা জাপান নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ডা. নুরুল ইসলামের বাবা মতিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ছেলের চিকিৎসা করিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। স্ত্রীর আয়ের টাকা দিয়ে কোন রকম সংসার চলছে। মানবতাবাদী  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে সে সুস্থ হয়ে আবারও চিকিৎসা সেবায় ফিরতে পারবে।
ডা. নুরুল ইসলামের মা নাছিমা খানম বাংলানিউজকে বলেন, একমাত্র ছেলেকে অনেক আশা নিয়ে বেসরকারি মেডিকেলে ডাক্তারি পড়িয়েছি। অনেক টাকা ব্যয় করেছি। পরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি। চিকিৎসায় সহায় সম্বল সব খুইয়েছি। এখন তার চিকিৎসায় মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহয়তা কামনা করছি। তিনিই আমাদের এ সংকট থেকে রক্ষা করতে পারেন।

গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মেধাবী এ চিকিৎসককে বাঁচাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিতে হবে। সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তবেই ডা. নুরুল ইসলাম সুস্থ হয়ে আবারও মানব সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারবেন।

গোপালগঞ্জ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চৌধূরী ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ডা. নুরুল ইসলামকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিদেশে তাকে উন্নত চিকিৎসা করা হলে সুস্থ হয়ে ফিরবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ ব্যাপারে সবাইকে সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ