শেষ মুহূর্তে শিল্প ও বন্দরনগরী খুলনায় তুঙ্গে উৎসবের কেনাকাটাও। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতায় ঠাসা বিপণি কেন্দ্রগুলো জমজমাট।
সবচেয়ে বেশি ভিড় নগরীর নিউ মার্কেট, নিকসন মার্কেট, জলিল টাওয়ার, ডাক বাংলা সুপার মার্কেট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণি বিতান, মশিউর রহমান মার্কেট, রব সুপার মার্কেট, বড় বাজার, আলো সুপার মার্কেট, সেফ অ্যান্ড সেভ, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, রেলওয়ে মার্কেট, রূপসা মার্কেট, দরবেশ চেম্বার, এশা চেম্বার ও আকতার চেম্বারে।
দোকানিরা জানান, শেষ মূহুর্তে শাড়ি, পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোশাক বিক্রি বেশি। শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সী ক্রেতারা পছন্দসই পোশাকের খোঁজে আসছেন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মহানগরীর মার্কেট ও বিপণি বিতান ঘুরে দেখা গেছে, পূজা উপলক্ষে দোকানিরা নিয়ে এসেছেন রকমারি ডিজাইনের পোশাক ও নামি-দামি ব্র্যান্ডের নানা প্রসাধন সামগ্রী। রয়েছে জামদানি, বেনারসি ও ইন্ডিয়ানসহ নানা ধরনের শাড়ির চমৎকার সমাহার। বেশিরভাগ পোশাকে শারদীয়ার চিরন্তন রূপ তুলে ধরা হয়েছে সাদা, লাল, হলুদ ও বাসন্তী রঙে। সারা দিন ঘুরে ঘুরে পছন্দমতো এসব পোশাক কিনছেন ক্রেতারা।
টেইলার্সগুলোতেও ভিড়, ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। পোশাক ও প্রসাধনীর পাশাপাশি ঘর সাজাতে অনেকেই কিনছেন পর্দা, বেডসিট ও বিভিন্ন অলঙ্করণ সামগ্রী। নকশা-আলপনা করা মাটির পাত্র নিচ্ছেন কেউ কেউ, গিফট শপগুলোতেও ভিড় করছেন অনেকে। ধূপ, ধুতি, শাঁখা, সিঁদুর, তিলকসহ নানা পণ্য কেনা-বেচারও ধুম পড়েছে।
খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেটের রোজি ক্লথ স্টোরে আসা সুনীতা হালদার ও যমুনা বিশ্বাস বলেন, ‘শাড়ি আমাদের প্রধান পছন্দ। মা দুর্গাকে বরণ করতে লাল-সাদার সনাতনি সাজ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু তাতে আধুনিকতার ছোঁয়াও থাকা চাই। তাই লাল পেড়ে সাদা জামদানি শাড়ি কিনতে এসেছি’।
জলিল সুপার মার্কেটের ক্রেতা খুলনা আইটির অধ্যক্ষ শিলাদিত্য গাইন বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেয়ের জন্য লেহেঙ্গা, স্ত্রীর জন্য শাড়ি ও থ্রি-পিছ ও নিজের জন্য পাঞ্জাবি কিনেছি’।
খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেটের রোজি ক্লথ স্টোরের বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম জানান, কাতান, তসর, সিল্ক ও ভারী কাজের শাড়িগুলো পূজায় বেশি চলছে।
সোনালী বস্ত্রালয়ের প্রোপাইটর শামীম বলেন, শেষ মূহুর্তে জমজমাট পূজার বেচাকেনা। সব বয়সীরা তাদের পছন্দের পোশাক কিনছেন মার্কেট ঘুরে ঘুরে।
হাজী মালেক চেম্বারের বস টেইলার্সের প্রোপ্রাইটর ওমর ফারুক বলেন, ‘ঈদের চেয়ে আমাদের দোকানে পূজার কাজের চাপ বেশি, দিন-রাত কাজ করছেন কারিগররা। চিন্তায় আছি- সময়মতো ডেলিভারি দিতে পারবো কি-না’।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এমআরএম/এএসআর