তিনি রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠে থাকা কাশিয়াডাঙ্গা ফেরতাপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। নিহত ব্যবসায়ী পুকুরে মাছ চাষ এবং জমি কেনাবেচার ব্যবসা করতেন।
এছাড়া বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই জমিজমা কেনাবেচার টাকা অথবা বেটিংকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর জবাই করে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তবে ঘটনাটি ঘটেছে অন্য কোথাও। কারণ যেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোথাও হত্যার পর মরদেহ সেখানে ফেলে যাওয়া হয়েছিল।
রাজশাহীর পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, আপাতত পুলিশ এ দু’টি সূত্র ধরেই হত্যার ক্লু উদ্ধারে এগোচ্ছে। শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হবে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করে পবা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
নিহত শাহাবুলের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পবা থানার ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে কাশিয়াডাঙা মোড় থেকে শাহাবুলকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন পবার কৈকুড়ি এলাকার রাস্তার পাশের জঙ্গলের ভেতর তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।
পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শাহাবুলের টি-শার্টের পকেটে পাঁচ হাজার এবং জিন্সের প্যান্টের পকেটে তিন হাজার টাকা পাওয়া গেছে। মরদেহের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। গলাকেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হলেও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাহাবুলের ছয় বছরের একটি ছেলে ও তিন বছরের মেয়ে রয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে ওই ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পবা থানা পুলিশ। এর আগে পবা উপজেলার দারুশা ইউনিয়নের কৈকুড়ি এলাকার রাজশাহী-গোদাগাড়ী সড়কের পাশের একটি জঙ্গল থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।
পরে খবর পেয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমদ আলী ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী দারুশার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
এসএস/জেডএস