ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বেলুড় মঠের আদলে পূজামণ্ডপ খামারবাড়িতে!

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
বেলুড় মঠের আদলে পূজামণ্ডপ খামারবাড়িতে! খামারবাড়ির পূজামণ্ডপের মূলগেট; ছবি- আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বেলুড়ে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের মঠের আদলে তৈরি করা হয়েছে রাজধানীর একটি পূজামণ্ডপ।

সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘের দুর্গা উৎসবের এই মণ্ডপে বেলুড় মঠের বিশাল বিশাল আকৃতির গম্বুজ ও সকল কারুকাজের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।

আলোকসজ্জার জন্য মণ্ডপের সামনে তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকৃতির দু’টি গেট।

১০০ জন শ্রমিক গত এক মাস ধরে তৈরি করেছেন সসকসের দুর্গা উৎসবের মণ্ডপ। মণ্ডপে এখন শুধু চলছে শেষ পর্যায়ের সাজসজ্জার কাজ।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে অবস্থিত সসকসের পূজা মণ্ডপ ঘুরে এ সব চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলুড় মঠের আদলে নির্মিত সসকসের পূজামণ্ডপের বাইরের আকৃতির কাজ এখন শেষ।  এখন চলছে ভিতরের সাজসজ্জার কাজ।  দুর্গা উৎসবের আর মাত্র চার দিন বাকি থাকায় দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।

এছাড়া কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছে ছোট আকারের একটি গেট এবং খামারবাড়ি মোড়ে তৈরি করা হয়েছে বড় আকারের একটি গেট ও আলোকসজ্জার নানা ডিজাইন।

ইতোমধ্যে মণ্ডপে স্থাপন করা হয়েছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। ভাস্কর্য শিল্পী উত্তম কুমার পালের নির্দেশনায় চলছে দেবী দুর্গার প্রতিমায় রং তুলির শেষ ছোঁয়ার কাজ। চলছে প্রতিমা নির্মাণের শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা; ছবি আনোয়ার হোসেন রানা

শিল্পী উত্তম কুমার পালের বাংলানিউজকে বলেন, এবারের প্রতিমা তৈরিতে আমরা ক্লাসিক ও অ্যান্টিক ডিজাইনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।  পুরাতন হারিয়ে যাওয়া অনেক সংস্কৃতির অংশ এবারের প্রতিমায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।    

সসকসের সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠী পূজার দিন থেকে দশমীর দিন পর্যন্ত সংগঠনটির রয়েছে নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  পূজার ৫ দিনই সরকারি দলের বেশ কয়েকজন নেতা ও মন্ত্রী সসকসের পূজা মণ্ডপে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।  এছাড়া পূজা চলাকালীন প্রায় ১০ হাজার ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণেও পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই সসকসের পক্ষ থেকে দুর্গা উৎসবের আয়োজন করা হয়।  ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ পূজা প্রাঙ্গণ সকল শ্রেণীর মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।  তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বস্ত্রদান,গুণীজনদের সম্মাননা, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রভৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২,২০১৭
এমএসি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।