শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভারতের টাকি বিএসএফ ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন সাতক্ষীরার নীলডুমুর ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ইন্ট অফিসার মেজর আব্দুল্লাহ আল মামুন, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দিন, দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন, টাউন শ্রীপুর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আকতার হোসেনসহ সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
ভারতের পক্ষে অংশ নেন সেদেশের ১৬০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এসি এসএ মিনার, ২৪ পরগণা পুলিশের এএসপি অভিজিৎ ব্যাণার্জিসহ সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বৈঠক প্রসঙ্গে মেজর আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রেওয়াজ অনুযায়ী ইছামতিতে বিজয়া দশমীতে দুই বাংলার মিলন মেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে, সন্ধ্যা ৬টার আগেই বিসর্জন, নিজ নিজ সীমানার মধ্যে বিচরণ এবং কোনো ক্রমেই কেউ যেন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফের টহল জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শারদীয় দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত নদী ইছামতিতে শত বছর ধরে বসতো দুই বাংলার মিলন মেলা। এ মেলায় একাকার হয়ে যেত ওপার বাংলা-এপার বাংলার মানুষ। তবে, গত কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তার অজুহাতে আর বসতে দেয়া হতো না এ মিলন মেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ