বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার কাথণ্ডা গ্রামের বজলুর রহমানের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় বাদী বজলুর রহমানের বাড়িঘর ভাঙচুর, মালামাল লুট ও একটি দামি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়াসহ তার ছেলে রাকিবুজ্জামানকে বেদড়ক মারধর করা হয়।
মামলার বাদী বজলুর রহমানের ছেলে রাকিবুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, রাতে ১০-১৫ জন লোক তাদের বাড়িতে এসে তার বাবাকে ডাকতে শুরু করেন। এরপর তারা বারান্দার গ্রিল ও দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢোকেন। এসময় তার বাবা বজলুর রহমানকে না পেয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন।
রাকিবুজ্জামান আরও জানান, এসময় তারা বলেন, ‘তোর বাপকে বল মামলা তুলে নিতে, নইলে তোকে মেরে ফেলবো’।
হামলাকারীদের মাথায় হেলমেট ছিল ও তাদের সঙ্গে সাদা পোশাকের তিন জন পুলিশ সদস্য ছিল। যাদের হাতে ওয়ারলেস ছিল বলেও দাবি তার।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনা তার জানা নেই।
১৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হঠাৎগঞ্জ মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইদুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে সদর থানার দুই উপ পরিদর্শকসহ (এসআই) ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই বজলুর রহমান।
পরে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন, সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান ও পাইক দেলোয়ার, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) শেখ সুমন হাসান ও আশরাফুজ্জামানসহ ৬ পুলিশ সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
টিএ/আরএ