ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

২ বছরে এক চিমটি বালুও পড়েনি রাস্তাটিতে

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
২ বছরে এক চিমটি বালুও পড়েনি রাস্তাটিতে ২ বছরে এক চিমটি বালুও পড়েনি রাস্তাটিতে। ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা-বাংলানিউজ

ঢাকা: গত দুই বছর ধরে এক চিমটি বালু কিংবা পিচ পড়েনি রাস্তাটিতে। বৃষ্টি হলেই কোমরপানি, আর রোদে ধুলার জ্বালায় হাঁটা পর্যন্ত যায় না। রাস্তা সংস্কারে সিটি করপোরেশন কিংবা স্থানীয় কাউন্সিলর কারোরই মাথা ব্যথা নেই। সংশ্লিষ্টরা দেখেও না দেখার ভান করে চলেছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের চার নাম্বার রোডের মোড় থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার  বর্ণনা করতে গিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে কথাগুলো বলেন স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম।

রাস্তাটির বেহাল দশা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও যাতায়াতকারী যাত্রীদের ক্ষোভ, হতাশা আবুল কাশেমের মতোই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবাসিক  এলাকাটির ভিতরের বেশ কয়েকটি রাস্তায়  খোঁড়াখুড়ি চিহ্ন রয়েছে । এছাড়া জায়গায় জায়গায় ভাঙ্গা বেশ কয়েকটি সড়কে। তবে মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের চার নাম্বার রোডের মোড় থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড সড়কটির বেহাল দশা সব থেকে বেশি। ২ বছরে এক চিমটি বালুও পড়েনি রাস্তাটিতে।  ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা-বাংলানিউজরাস্তাটির ৯০ শতাংশ জায়গায় পিচ,বালু এবং ইটের ঢালাই উঠে গেছে।  জায়গায় জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। কোনো রকমে নাকে রুমাল চেপে হাঁটাচলা করা গেলেও যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে রাস্তাটি সম্পূর্ণ অযোগ্য।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,বৃষ্টিপাত ছাড়াই রিকশা কিংবা গাড়ি চলাচলে নানা অসুবিধা সৃষ্টি হওয়াসহ পথটিতে চলার সময় অনেক সময় যাত্রী নিয়ে রাস্তায় পড়ে যান রিকশা চালকরা।
 
রোদের সময় ভাঙ্গা রাস্তায় সৃষ্ট ধুলায় সংলগ্ন বাসাবাড়িতে থাকা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। ফলে বৃদ্ধ থেকে শিশুসহ অনেক শ্বাস কষ্টজনিত রোগেও ভুগছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।  

এছাড়া বৃষ্টি হলে কোমর পানি জমে রাস্তাটিতে। পানি এমনকি স্থানীয় বাসিন্দাদের বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে ঢুকে যায়। ২ বছরে এক চিমটি বালুও পড়েনি রাস্তাটিতে।  ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা-বাংলানিউজমোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের চার নাম্বার রোডের বাসিন্দা কাইসার আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তাটিতে ২-৩ বছর ধরে মেরামত করার কোনো লক্ষণ নেই। ফলে এই রাস্তার যন্ত্রণায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এছাড়া চার নাম্বার রোডের মোড় থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যে যানজটের সৃষ্টি হয় তা বলার মতো না। কবে যে এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাব কে জানে।

মোহাম্মদপুর বাস্ট্যান্ডে দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট বাংলানিউজকে বলেন, এই রাস্তাটির কারণে বৃষ্টি কিংবা যানজটের সময় ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। কারণ রাস্তাটি সরাসরি বাসস্ট্যান্ডের মেইন রোডের সঙ্গে যুক্ত। বেহাল রাস্তাটিতে যান চলাচল করতে না পারার কারণে মেইন রোডেও গাড়ির চাপ পড়ে বেশি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২,২০১৭
এমএসি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।