বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া ভাষণে তিনি এসব প্রস্তাব পেশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেব জাতিসংঘে দেওয়া নিজের ১৪তম ভাষণে সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও বিশ্ব শান্তি, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পরিচালিত নৃশংস গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তিনি বলেন, অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং অন্যান্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধের ক্ষেত্রে সাইবার জগত থেকে উদ্ভূত হুমকি মোকাবিলা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে আমি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস জঙ্গিবাদকে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একজন সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম, বর্ণ বা গোত্র নেই। আমি নিজে বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। সে হিসেবে আমি সন্ত্রাসের শিকার মানুষের প্রতি আমার সহানুভূতি প্রকাশ করছি। আমি মনে করি তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। আমরা ধর্মের নামে যে-কোনো সহিংস জঙ্গিবাদের নিন্দা জানাই। সহিংস জঙ্গিবাদ বিস্তার রোধে তৃণমূল পর্যায়ে আমরা পরিবার, নারী, যুবসমাজ, গণমাধ্যম এবং ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করেছি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এবারের অধিবেশনে তিনি ৫২ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ সরকারি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
জেডএম/