বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ আহবান জানান।
বাংলায় দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও যাতে কখনই আর এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সংঘটিত না হয় সেজন্য আমি বিশ্ব সম্প্রদায়কে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি ১৪তম ভাষণ।
এবারের ভাষণে গণহত্যা ছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার ভাষণে আরো উঠে আসে বিশ্বব্যাপী শান্তি রক্ষা কার্যক্রম, সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমে সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ের সময়োপযোগী ও দূরদর্শী বক্তব্য।
ভাষণে ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ভয়াবহতম গণহত্যার শিকার হয়’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ৯ মাসব্যাপী চলা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ৩০ লাখ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে তারা এই হত্যাযজ্ঞ চালায়। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে তারা দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে।
তিনি বলেন, গণহত্যার শিকার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সম্প্রতি ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মূলত ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর মাধ্যমে তারা এই গণহত্যার সূচনা করেছিল।
‘এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্তদের আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করেছি’ বলেও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এবারের অধিবেশনে তিনি ৫২ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ সরকারি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
জেডএম/