ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেরপুর: শেরপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে (১৬) এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন-সদর উপজেলার সূর্যদী গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. শামীম মিয়া (২২), বারঘরিয়া গ্রামের মৃত নছিমদ্দিনের ছেলে কামারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বারি চাঁন (৫৪), সূর্যদী গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মো. মতি (৩৫) ও আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. জিয়া (৩৫)।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি শামীম কলেজে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে সূর্যদী চারআনীপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর বেশ কিছুদিন বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শামীম তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।  

পরে ছাত্রীটি শামীমকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে তিনি মোবাইল ফোনে তাকে তার সূর্যদী চারআনীপাড়া গ্রামের বাড়িতে ডেকে আনেন এবং পুনরায় ধর্ষণ করেন।

এরপর বিকেলে কামারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বারি ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন এবং একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।  

এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে শামীম, মতি ও জিয়া তার গলায় থাকা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শামীম ছাত্রীটিকে ঘুমের ওষুধ মেশানো কোমল পানীয় পান করান এবং অন্য আসামিদের সহযোগিতায় অলিখিত সাদা স্ট্যাম্প ও কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও টিপসই নেন।

খবর পেয়ে রাতে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার আসামি কামারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারি বলেন, শামীমের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তার ইউনিয়ন পরিষদে উভয়পক্ষকে ডেকেছিলেন। কিন্তু মেয়ে পক্ষ না আসায় রাত দু’টার দিকে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে ছাত্রীটিকে হস্তান্তর করেন। মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা তো দূরের কথা তার শরীরও স্পর্শ করেননি তিনি।  

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল্লা আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী মামলা পাওয়ার পরই তা রেকর্ড করা হয়েছে। এখন তদন্ত চলবে। তদন্ত ছাড়া এখনই বলা যাচ্ছে না প্রকৃত ঘটনা কি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।