বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে শুরু হওয়া এ পূজা শেষ হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দেবী বির্সজনের দিন, চলবে পুরো ১০ দিন। সকাল থেকে এ পূজা দেখতে মণ্ডপে ভিড় করছেন প্রচুর দর্শনার্থী।
সরাদেশে হাজার হাজার পূজামণ্ডপে কারিগররা যখন ব্যস্ত প্রতিমা তৈরির কাজে, সেখানে দেশের একমাত্র এ মণ্ডপে শুরু হয়ে গেছে পূজার্চনা। ঢাকের আওয়াজে মোহিত হচ্ছে চারপাশ। নিজের ও দেশের মঙ্গল কামনায় দেবীর চরণে অঞ্জলিও দিচ্ছেন ভক্তরা।
শ্রীমঙ্গল ইছামতি চা বাগানে মঙ্গলচণ্ডির থলিতে পৌরাণিক নিয়ম অনুসারে দেবী দুর্গার নয়টি রূপে নয় দিনব্যাপী পূজার্চনার প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার শৈলপুত্রী রূপে পূজিত হন তিনি। এভাবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর নবমী তিথি পর্যন্ত ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘন্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্ধমাতা, কাত্যায়নি, কালোরাত্রি, মহাগৌরী ও সিদ্ধিধাত্রী রূপে মা দুর্গার পূজা করা হবে।
পুরোহিত শিক্ষক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, এ পূজার্চনা বয়ে আনবে জগতে শান্তি ও সমৃদ্ধি।
পূজা কমিটির সভাপতি পরিমল ভৌমিক বাংলানিউজকে জানান, অসুর দমন করে মা দুর্গা যেভাবে স্বর্গরাজ্য জয় করেছিলেন, ঠিক সেভাবে পৃথিবীর বর্তমান অশান্তি দূর করবেন- এমন আশা নিয়েই এ বছর এ পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ দেবস্থলিটি শ্রীমঙ্গলের সর্বাধিক প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৫০০ বছর ধরে এখানে রয়েছে মঙ্গলচণ্ডি দেবীর থলি। অনেকে শ্রীমঙ্গল নামের উৎপত্তিও এই শ্রীশ্রী মঙ্গলচণ্ডির থলি থেকে হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন।
পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দত্ত বাংলানিউজকে জানান, ওই ঐতিহাসিক স্থানটিকে ধরে রাখতে গত ৭ বছর ধরে তারা এখানে দেবীর নবরুপে পূজা করে আসছেন। তবে এর স্থায়ী রুপ দিতে প্রয়োজন সরকারসহ দানশীলদের সহায়তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এএসআর