ভুক্তভোগী নগরবাসী অভিযোগ করছেন, ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে নিজেদের খেয়াল-খুশিমত দিনভর নগরীতে ট্রাকসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চালাচ্ছে চালকরা। নিয়ম ভেঙে নগরীর ভিতরে দিনের বেলায় অহরহ ঢুকছে ট্রাক-বাস।
বশির নামের এক পথচারী অভিযোগ করে বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সহায়তা ছাড়া দিনের বেলা সাধারণত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল সম্ভব নয়। নগরীর প্রবেশ পথগুলো এবং বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। তাদেরকে টাকা দিলেই গাড়ি চলতে আর বাধা থাকে না।
ক্লে রোডের (বড় বাজার) ঘড়ির দোকানী মহিউদ্দিন বলেন, নগরবাসীকে যানজটের উটকো ঝামেলা থেকে স্বস্তি দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনের বেলায় ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি কার্যকর হচ্ছে না। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ভারী যানবাহন চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সরেজমিনে মহানগরীর কেডি ঘোষ রোড, ক্লে রোড, কালীবাড়ি রোড, লেয়ার যশোর রোড ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ইজিবাইক। মাঝখান দিয়ে চলছে মালবাহী ট্রাক। আর এসব ট্রাকে বিভাগের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার বড় বাজারের ব্যবসায়ীদের ভোজ্যতেল, ডাল, পেঁয়াজ, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, লোহার রড, টিন, সিমেন্ট আনা দেওয়া করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব রাস্তা ট্রাকের দখলে চলে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। অথচ এসব রোডের মোড়গুলোতে ট্রাফিক পুলিশও রয়েছে।
ক্লে রোডে দুপুর ২ টায় গিয়ে দেখা গেল, আর এন্টারপ্রাইজের একটি ট্রাক (খুলনা মেট্রো –ট -১১-১৬৫০) বড় বাজারের প্রবেশ দ্বারে যানজট সৃষ্টি করেছে। ট্রাকের চালকের কাছে দিনের বেলা ট্রাক শহরের প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তর না দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপির) সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
কেএমপির এডিসি (ট্রাফিক) কামরুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভারী যানবাহন চলাচলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেসব ট্রাক চলেছে সেসব ট্রাক হয়তো বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এমআরএম/আরআই