বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরিফা খাতুন মিতা আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের বিজিবি সদস্য খালিদ হাসান সুমনের স্ত্রী এবং একই উপজেলার চিৎলা গ্রামের কিতাব আলীর মেয়ে।
মিতার বাবা কিতাব আলী বাংলানিউজকে জানান, দুই বছর আগে উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের খালিদ হাসান সুমনের সঙ্গে আরিফা খাতুন মিতার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে বরপক্ষকে নগদ তিন লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ দেওয়া হয়। এরপর গত ২/৩ মাস ধরে দুই লাখ টাকার জন্য মিতার ওপর তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন নির্যাতন শুরু করেন। সকালে সুমনের উপস্থিতিতে শ্বাশুড়ি লামিয়া খাতুন, শ্বশুর আইনাল ও ননদ সিমা মিতার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন মিতার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বাংলানিউজকে জানান, আগুনে মিতার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। মিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এনটি