রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোর তুলনায় এই সড়কটি কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অথচ এই আধা কিলোমিটার রাস্তা প্রায় দুই বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে।
শিয়া মসজিদ হয়ে মোহাম্মদপুর বাঁশবাড়ী এই রাস্তাটি গত অর্থবছরেই সংস্কারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজিব। মেগা প্রকল্পের দোহাই দিয়ে রাস্তাটি আর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
এ রাস্তায় চলাচলকারী আকলিমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, “রাস্তার এমন অবস্থা রিকশায় বসে থাকাই কষ্টকর। কখনও কখনও রিকশা উল্টে যায়। বৃষ্টি হলেও কষ্ট, রোদ হলেও কষ্ট। বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি, রোদ হলে ধুলায় অন্ধকার। বাসার জানালা খোলা যায় না। ধুলায় সব নষ্ট হয়ে যায়। গত দুই বছর ধরে রাস্তাটির বেহাল দশা। ”
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম অজিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “রাস্তাটি প্রশস্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। সার্ভে করা হয়েছে। প্রশস্তকরণের কাজের জন্যই সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। যেহেতু প্রশস্ত করা হবে তাই কিছুটা সময় লাগবে। ”
শিয়া মসজিদ থেকে জিগাতলা পর্যন্ত যেতে আরও বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার বেহাল অবস্থা। মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজের সামনে বেশ কিছু অংশ জুড়েই ভাঙাচোরা। এবার অতি বৃষ্টির কারণে শুধু মোহাম্মদপুর নয় পুরো ঢাকা শহরের প্রায় সব রাস্তারই বেহাল চিত্র। দ্রুত এসব রাস্তার সংস্কার কাজ করতে না পারলে রাজধানীতে চলাচল করা দুরুহ হয়ে পড়বে।
ঢাকা উত্তরের রাস্তা সংস্কার প্রসঙ্গে ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, “এবার বৃষ্টিতে আমাদের অনেক রাস্তাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি পুরোপুরি শেষ হলে কাজ শুরু করে দেব। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে সব ভাঙা রাস্তা সংস্কার হয়ে যাবে। ”
কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজিব বাংলানিউজকে বলেন, “রাস্তাটি মেগা প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেইজে আছে। এটি প্রায় ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প। জিওবিতে দেওয়া আছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু হবে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ