প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির উদ্যোগ, কূটনৈতিক উদ্যোগ ও গণমাধ্যমের উদ্যোগের সমন্বয়ে সংকট নিরসন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত ‘সবার জন্য শান্তি: সবার জন্য সম্মান, নিরাপত্তা এবং মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন ও গণহত্যার মতো অপরাধ হয়েছে। এই ঘটনাকে অং সান সু চি আড়াল করেছেন। ১৯৭২ সালে ও ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গারা এ দেশে পালিয়ে এসেছিল। আমরা প্রত্যাবর্তনের কথা বলছি। ৭৮ এবং ৯২ সালে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করেছে, আবার তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, আমরা চাই মিয়ানমারের তাদের প্রত্যেক নাগরিককে ফিরিয়ে নেবে। শুধু তাই নয়, তাদের নাগরিকত্ব প্রদান, ক্ষতিপূরণ দিয়ে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করবে এবং নারকীয় গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করবে।
অং সান সু চির সঙ্গে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার তুলনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সু চি ও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অসাম্প্রদায়িকতার পথ পরিহার করে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন করেছে। একইভাবে খালেদা জিয়া ধর্ম নিরপেক্ষাতার পথ পরিহার করে দেশকে হত্যা, গুম, সংঘর্ষের পথে ঠেলে দিয়েছিলো। তারা দুজনেই অসাম্প্রদায়িকতার পথ ছেড়ে সাম্প্রদায়িকতার পথ বেছে নিয়েছেন।
’৭১ এর স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই উপমহাদেশে যে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিল তা জাতিগত নিপীড়নের কারণে। সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধ ছিল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।
আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কাশেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এএম/এমজেএফ