বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে গ্র্যান্ড হোটেলে বিজনেস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন, ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের সিইও আজিজ আহমেদ, ওয়ালমার্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট পল ডিক, ফেডেক্সের ডেভিড শর্ট, পাওয়ার প্যাকের রন সিকদারসহ বড় বড় সব ব্যবাসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মূল্যবোধ ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সময়ে পরীক্ষিত বন্ধু। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক বাড়ছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র দারুণ সুসম্পর্ক উপভোগ করছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে যুক্তরাষ্ট্র এখন আমাদের ঘনিষ্ট অংশীদার।
দুই দেশের বাণিজ্যিক সর্ম্পকের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দিনে দিনে বাড়ছে। গতবছর এর পরিমাণ ছিলে ৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এখনও পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বিদ্যমান সর্ম্পক আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশির ভাগ স্বল্পোন্নত দেশে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পায়। অথচ বাংলাদেশ এসব দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সব উন্নত দেশ, এমনকি অনেক উন্নয়নশীল দেশও শুল্পমুক্ত বাজার সুবিধা পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রায় সব উন্নত দেশ, চীন, জাপান, ইন্ডিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পায়। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩২ নম্বর শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল। প্রগতিশীল, সেকুল্যার গণতান্ত্রিক ও মানবিক দেশ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের তরুণ যুবশক্তি ও সস্তা শ্রমশক্তি, বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চলমান কাজের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে দেড় ডজনের মতো অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
দু’দেশের ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক আরও শক্তি করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এমইউএম/এএ