বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর প্রবেশদ্বার হুমায়ন রশিদ চত্বর থেকে রোড মার্চের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো হয়নি। কেননা পুলিশি বাধায় রোড মার্চ পণ্ড হওয়া নিয়ে
আয়োজকদের মাঝে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
যদিও রোডমার্চের আহবায়ক ও ‘হিউম্যানিটি ফর রোহিঙ্গা বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেছেন, প্রশাসনের উপর মহল থেকে অনুমতি নিয়েছেন। তাই বিক্ষিপ্তভাবে হলেও রোড মার্চ করবেন।
অন্যদিকে, সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বাংলানিউজকে বলেন, রোড মার্চ সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে। সেখানে রোর্ড মার্চ আটকানো হবে। এ জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেননা রোড মার্চ করার অনুমতি নেই।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে ‘হিউমিনিটি ফর রোহিঙ্গা’ সংগঠনের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় খলিফায়ে মাদানী আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী মোনাজাতের মাধ্যমে রোড মার্চের উদ্বোধনের কথা থাকলেও সোয়া ১১টা পর্যন্ত যাত্রা হয়নি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হুমায়ন রশিদ চত্বরে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রলম্বিত করছেন।
এরআগে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের চেয়ারম্যান, রোড মার্চের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকারসহ দেশে ফেরত পাঠানো, জাতিসংঘকে আহবান জানানো ছাড়া কর্মসূচির সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধ বা
অস্পষ্ট কোনো এজেন্ডা নেই।
সংগঠনের কর্মসূচি অনুযায়ী রোড মার্চের যাত্রা শুরু হয়ে প্রথমে শায়েস্তোগঞ্জ যাত্রা বিরতি করে পথ সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, পরে দুপুরে যাত্রা বিরতি হবে বি-বাড়ীয়ার জামিয়া দারুল আরকাম মাদ্রাসায় এবং রাত যাপন হবে ফেনী জেলার লালপুল মাদ্রাসা মাঠে।
প্রায় ২শ’ গাড়ি বহরে শুক্রবার বাদ ফজর চট্টগ্রামের পথে রোডমার্চ কাফেলা যাত্রা করে বিকেলে কক্সবাজারে সমাবেশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানিক সমাপ্ত ঘোষণার কর্মসূচি নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এনইউ/বিএস