মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত তাদের শেষ মুহূর্তের কাজে। মাটির কাজ শেষ করে রং-তুলির খেলায় মেতে উঠেছেন তারা।
পূজা মন্ডপগুলোতে আলোকসজ্জাসহ সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করা হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খখলা এড়াতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব সম্পন্ন হবে। এ বছর সাভার উপজেলায় মোট ১৮১ টি পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সাভার মডেল থানার আওতায় ১০১টি ও আশুলিয়া থানার আওতায় ৮০টি পূজা মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।
আসন্ন পূজাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করছেন এবং মন্দির কমিটির সঙ্গে তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান বলেন, সাভার উপজেলার মধ্যে এবার ১৮১টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবারের মতো সরকার এবারও সাভার উপজেলার জন্য শারদীয় দূর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে যেন অনুষ্ঠিত হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ রেখেছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পূজা উপলক্ষে ৫০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত বরাদ্দকৃত চাল পূজা উদযাপন কমিটির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। পূজা চলাকালে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা দেখলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করতে অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে নেওয়া হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখানে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ঘটবে না বা কোন প্রকার বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।
প্রতিটি মণ্ডপে পুরুষ ও মহিলা আনসার সদস্য নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপের নিজস্ব ভলান্টিয়ার ফোর্স থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
আরআই