বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমলনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান বিধবা মা রেবেকা মহসিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেবেকা মহসিন বলেন, উপজেলার চরজাঙ্গালীয়া গ্রামে বাড়ি তাদের।
স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি দখলে ছানা উল্যা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় নানা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন।
গত বছরের ২৯ মে চরলরেন্স এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের পিয়ন মো. মাকসুদ (২৬) নিখোঁজ হন। আটদিন পর ছানা উল্যার বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে পুলিশ তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বেলাল হোসেন ওইদিন রাতে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
রেবেকা মহসিনের অভিযোগ, ওই মামলার এজাহারে তার ছেলের নাম ছিল না। পরবর্তীতে ছানা উল্যাসহ একটি কুচক্রি মহল পুলিশকে ম্যানেজ করে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান হিরুকে ৩ নম্বর আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করায়।
তিনি আরও বলেন, ‘হত্যার ঘটনার সঙ্গে আমার ছেলে সম্পৃক্ত নয়। আমিও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চাই। হত্যার রহস্য উদঘাটনে জব্দ করা আলামতের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জুডিশিয়াল তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনার উম্মোচন হবে।
এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপও চান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এএসআর