বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনভর স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমে আসে। বিকেলে অফিস ছুটির পর কর্মস্থল থেকে ঘরমুখী মানুষজনকে যানবাহন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
সন্ধ্যা নামতেই সড়কে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও আন্তঃজেলা রুটের যানবাহনের সংখ্যা কমে আসে। কিছু সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করলেও যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বেশি ভাড়া।
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে পথঘাট কাদায় লেপটে গেছে। নিচু সড়কে জমে গেছে বৃষ্টির পানি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ-কর্মের ছন্দপতন ঘটিয়েছে। তবে একটানা গরমের পর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টিকে আপাতত স্বস্তির বৃষ্টি হিসেবেই দেখছেন নগরবাসী।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) দেব দুলাল ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, এই বৃষ্টি আমনের জন্য খুব উপকারী। কারণ এই সময় বৃষ্টি না পেলে ধানের ফলন কম হয়। দানা কম আসে তাই ওজনও কম হয়। এ সময় বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে বাড়তি সেচেরও প্রয়োজন হয় না। তবে বৃষ্টি মাত্রাতিরিক্ত হলে আবার ক্ষতি হবে।
এদিকে, রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন- বৃষ্টিপাত সব সময় হচ্ছে না। আবার মুষলধারেও হচ্ছে না। থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই বৃষ্টির পরিমাণ কম। তবে দুপুর ১টার পর থেকে প্রায় ৩০ মিনিট মহানগরীতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারপর থেকে আবারও বৃষ্টির মাত্রা কমেছে।
জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন- বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আকাশে মেঘ আছে। তাই আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টিতে দিনের তাপমাত্রা কমেছে।
বুধবার রাজশাহী মহানগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ৯৭ শতাংশ।
ঢাকা আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ অবস্থান করছিল। যা পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এতে মৌসুমি সক্রিয় হয়েছে। আর এজন্যই রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানান এই আবহাওয়া পর্যবেক্ষক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এসএস/এএ