বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ৩ জন করে মোট ২৭ জন ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজিতে চাউল বিক্রি শুরু হয়েছে। এর আগে কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকায় ৫টি ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজিতে চাউল বিক্রি শুরু হয় গত সোমবার(১৮ সেপ্টেম্বর)।
বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষজন খোলাবাজারে নির্ধারিত ডিলারের কাছে চাল কিনতে গেছেন। কিন্তু বিধি বাম! ওএমএস’র দোকানে সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে বরাদ্দকৃত চাল। ফলে হতাশ হয়ে অভাবী মানুষ ফিরছেন খালি হাতে।
নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে খোলাবাজারে ১ মেট্রিক টন চাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্রির কথা থাকলেও চাহিদা বেশি থাকায় তা শেষ হয়ে যাচ্ছে দুপুর না গড়াতেই। তাই খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষকে।
কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার দাদামোড়ে খোলাবাজারে (ওএমএস এর দোকানে) চাল কিনতে আসা রিকশাচালক গোলজার হোসেন (৪৫) বাংলানিউজকে বললেন, দীর্ঘসময় কিউতে দাঁড়িয়েও চাল মিলছে না। আমার সিরিয়াল আসার আগেই চাল শেষ।
জলিল বিড়ি মোড়ে খোলাবাজারে চাল কিনতে আসা জাহানারা বেগম (৪২), শফিকুল ইসলাম (৪০) বাংলানিউজকে বলেন, ওএমএস’র দোকানের সামনে সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও চাল পাই নাই।
বরাদ্দ কম, তাই সব ক্রেতাকে চাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান কুড়িগ্রামের ওএমএস ডিলারগণ। বাজারে চলের দামের উর্ধ্বগতির কারণে ওএমএস’র দোকানের সামনে দীর্ঘক্ষণ কিউতে দাঁড়িয়েও চাল না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকই।
জলিল বিড়ি মোড়ের ওএমএস ডিলার নবারুণ চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার ছাড়া প্রতিদিন এক টন অর্থাৎ ১ হাজার কেজি চাল বরাদ্দ পাই। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা বেশি হওয়ায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোঃ ফেরদৌস খান বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার থেকে পৌরসভার বাইরে প্রতিটি উপজেলায় তিনটি করে ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। এতে করে বর্তমান যেসব ওএমএস দোকানে চাল বিক্রি হচ্ছে সেখানকার চাপ কমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়:১৯২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এফইএস/জেএম