ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে টেক্সটাইল মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
মুন্সীগঞ্জে টেক্সটাইল মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকার আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলের আগুন চার ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ছয় শ্রমিক হলেন- মানিকগঞ্জের মোহাম্মদ রতন মিয়া (২০), ঝিনাইদয়ের মোহাম্মদ সজীব (২৪), চুয়াডাঙ্গার মোহাম্মদ ইস্রাফিল (২৬), সিরাজগঞ্জের মোহাম্মদ বাবু (২২) ও মোহাম্মদ নাজমুল হাসান (২২), কারখানার বাবুর্চি বরগুনার হাসিনা বেগম (৬০)। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলম মজুমদারকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাখওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পর্যায়ক্রমে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দু’টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও জানান, সকালে কারখানার নিচ তলায় রাসায়নিক ব্যবহার করে স্যাম্পল তৈরির কাজ চলছিল। পাশেই চলছিল ওয়েলডিংয়ের কাজ। ওয়েলডিংয়ের ফুলকি থেকে পাশের রাসায়নিক দ্রব্যের গুদামে আগুন লেগে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দুপুর ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
 
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা বাংলানিউজকে জানান, নিহতের প্রতিটি পরিবারকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করা হবে।

মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে জানান, মিলটিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। মিলের আশপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু আগুন নিভানোর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মেয়াদ ছিল না।

এ ঘটনায় মিলের জিএম খিদির শর্মাসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। মিলের অভ্যন্তরের রুমগুলোতে গাদাগাদি করে মালামাল থাকার কারণে শ্রমিকদের চলাফেরাতেও সমস্যা হতো। মিলটিতে ২১০ জন শ্রমিক কাজ করছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।