কিন্তু গ্রেফতারকৃতদের কি অপরাধ তা পুলিশ বলে যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নদী নাফ পাড়ি দেওয়া অনেক নারী রোহিঙ্গা।
বর্তমানে চলমান সহিংসতার মাসতিনেক আগেও মিয়ানমারের আরাকানে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছিল।
শরণার্থীরা জানান, মিয়ানমারে শুধু রোহিঙ্গাদের রাখতেই তৈরি করা হয়েছে আলাদা একটি কারাগার। পুলিশ সাধারণ রোহিঙ্গাদের কারণে-অকারণে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় সেই কারাগারে। সেখানে কতোজন বন্দি আছেন, তার সংখ্যা জানেন না কেউ।
মিয়ানমারের হাইসাপাড়া থেকে নাফ নদী পার হয়ে আসা দিলারার স্বামী হাবিবুল্লাকেও এবারের সহিংসতা শুরুর পর পরই গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার কোনো খবরও পাওয়া যায়নি। স্বামী আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না দিলারাও। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে কোনোমতে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলাদেশে।
বাংলানিউজকে দিলারা বলেন, ‘২০/২১ দিন আগে এসে পুলিশ নিয়ে যায় আমার স্বামীকে। কিন্তু কেন নিয়ে যাচ্ছে, কিছুই বলেনি। শুধু বলেছে, কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে। আজও জানি না, তিনি বেঁচে আছেন কি-না। গ্রামের কেউই বলতে গেলে বেঁচে নেই। নিজের জীবনটা নিয়ে পালিয়ে এসেছি। বেঁচে থাকলে স্বামীর সঙ্গে দেখা হবে’।
এখনো প্রতিদিন নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করছেন রোহিঙ্গারা। নারী শরণার্থীদের বড় অংশের স্বামীই বন্দি আছেন কারাগারে। কিন্তু তারা জীবিত আছেন কি-না, তা জানেন না দিলারাদের মতো নারীরা।
গত প্রায় একমাসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। তাদেরকে কক্সবাজারের ১৫টি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। শরণার্থীদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মিয়ানমার থেকে আসা শরনার্থীরা জানান, ৫০ বছরের নিচের প্রায় সব পুরুষকেই হত্যা করা হয়েছে।
** বুকে পাথর চেপে বয়ে বেড়াচ্ছেন সেনাদের নৃশংসতার ভার
** ‘ধোঁকাবাজি করছেন সু চি!’
** কাদায় মাখা শরণার্থী জীবন
** ২ বছরের কাছেরের দেখাশোনা করে ৩ বছরের লালা
** হাসিনার লাই বাঁচি থাক্কি'
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
ইউএম/এএসআর