বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া এ আবেদন খারিজ করে দেন।
টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রূপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামি বাসের সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলীর জামিনের জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফায়জুর রহমান বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করেন।
২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করেন বাসের হেলপারসহ পাঁচ শ্রমিক। পরে থাকে হত্যা করে মরদেহ টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে ফেলে রেখে যান তারা। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫), সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
আরবি/