ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নতুন ভবনে নেত্রকোনা হাসপাতালের রোগীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
নতুন ভবনে নেত্রকোনা হাসপাতালের রোগীরা নেত্রকোনা হাসপাতালের নতুন ভবন

নেত্রকোনা: এখন আর কোনো রোগীকে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে থাকছে হচ্ছে না। ধ‍ূলোবালুতে পড়ে থেকে মশার কামড় আর তীব্র গরমে সেদ্ধ হচ্ছে না কেউ। অথচ কিছুদিন আগেও এমন অমানবিক পরিস্থিতিই ছিলো নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের দৈনন্দিন দৃশ্য।

পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন গফুর মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের নতুন ভবন চালু হওয়ায় রোগীরা স্বস্তি পেয়েছে। আর এতে আমরা মানুষের মতো থেকে চিকিৎসা নিতে পারছি।

গাইনি-অবস ও লেবার ওয়ার্ডের রোগীর আত্মীয় চামেলি রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের আধুনিক নতুন ভবনটি চালু হওয়াতে আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি। এখন শুধু জনবলের সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রেও যদি ঊর্ধ্বতনরা সুদৃষ্টি দেন সমাধান হলে আশা করছি আমরা পরিপূর্ণভাবে প্রাপ্য চিকিৎসাসেবা পাবো।

হাসপাতালের চিকিৎসক ফখরুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের আধুনিক একটি ভবনের প্রয়োজনীয়তা ছিলো হাসপাতালটির। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় রোগীদের পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। বর্ণনাতীত দৃশ্য দেখে চিকিৎসক হিসেবে আমাদেরও ভীষণ কষ্ট হতো কিন্তু কিছু করার ছিলো না।

চিকিৎসক সাইফুল বারী বলেন, পঞ্চাশ শয্যার হাসপাতালে দীর্ঘদিন নানারকম সমস্যা ও ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন ডাক্তার ও নার্সরা। এখন তাদেরও সুন্দর একটি পরিবেশে বসার সুযোগ হয়েছে। এতে চিকিৎসাসেবার মান বাড়বে।

নেত্রকোনা হাসপাতালের নতুন ভবনে চিকিৎসারত রোগীআওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান খান রতন জানান, সম্প্রতি নেত্রকোনায় যোগদান করে সিভিল সার্জন মহোদয় নতুন ভবনটি চালু করেছেন নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। এখন সেবার মান বৃদ্ধি এবং হাসপাতালে অকেজো যন্ত্রপাতি সচল অথবা নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করতে পারলেই রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাবেন বলে মনে করেন তিনি।

সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম খান বলেন, পঞ্চাশ শয্যার পুরাতন ভবনটি চালু রাখার পাশাপাশি তিনতলার একশ’ শয্যার নতুন আধুনিক ভবনটি চালু করেছি। এতে ডাক্তার-নার্সদের দৌড়-ঝাঁপ ও দায়িত্ব বেড়েছে। তারপরও তারা এখন খুশি রোগীদের সেবা দিতে পেরে। ভালো লাগার বিষয় হলো সেবা নিতে এসে কাউকে এখন হাসপাতালের বারান্দা অথবা গেটে মাটিতে ধূলোতে কুকুরের সঙ্গে মশার কামড় খেয়ে পড়ে থাকতে হয় না। নেত্রকোনায় আসার পর এ পরিস্থিতি দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। পরে লোকবল সংকটে থেকে এক ধরনের চ্যালেঞ্জই নিয়েছিলাম নতুন ভবনের কার্যক্রম চালুর।

হাসপাতালে প্রত্যেকটি সেক্টরে জনবলের সংকট রয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন আরো বলেন, এ সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ চলছে।

এদিকে নার্সদের সুপারভাইজার ঝুনু রাণী সাহা বাংলানিউজকে জানান, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে তার চাকরি জীবন শুরু। অতীত থেকে বর্তমান, হাসপাতালে অনেক দুঃখ কষ্টের সাক্ষী তিনি। চাকরির শেষ সময়ে নতুন আধুনিক ভবনে কাজ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।