বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বিশ্বাসবাড়ী গ্রামে হুড়াসাগর নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মনতোষ কুমার উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের খাস সোনামুখী গ্রামের মংলা সরকারের ছেলে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন খাস সোনামুখী গ্রামের দেওয়ান কুমারের ছেলে সুজন কুমার ও জেলার কামারখন্দ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শিপন (৩২)।
নিহত যুবকের চাচাতো ভাই অচিন্ত কুমার সরকার জানান, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতিবেশী সুজনের সঙ্গে পিকনিকে যাওয়ার কথা বলে বলরামপুর গ্রামে শিপনদের বাড়ি যান মনতোষ। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে রাত ৩টার দিকে এক ব্যক্তি মনতোষের ভাই কৃষ্ণ কুমারকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা কীভাবে, কোথায় দিতে হবে তা নিয়ে রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় কথা হয়। তারপরও মনতোষের সন্ধান মিলছিল না। পরে দুপুরে থানায় অভিযোগ করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সকালে নদীতে তার মরদেহ পাওয়া গেলো।
বেলকুচি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগ পেয়ে রাতেই শিপন ও সুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে বুধবার সকালে বিশ্বাসবাড়ী হুড়াসাগর নদীতে কচুরিপানার ভেতরে লুকানো মনতোষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এসআই