বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের দরিদ্র কৃষক প্রয়াত আইয়ুব আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। তার ৬ সন্তানের মধ্যে ৩ সন্তান পুলিশ বাহিনীর সদস্য, একজন ব্যবসায়ী এবং অন্য ছেলে নিজের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কোনো সন্তানের কাছে ঠাঁই মেলেনি এই মায়ের। জীবনের তাগিদে বেছে নিয়েছেন নিগৃহীত কাজ ভিক্ষাবৃত্তি। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি।
কিছুদিন আগে ভিক্ষা করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙ্গে যায় মনোয়ারা বেগমের। সেই থেকে তিনি বিনা চিকিৎসায় দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছিলেন।
বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য (বাবুগঞ্জ-মুলাদা) অ্যাডভোকেট টিপু সুলতানের নজরে আসে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিনি এই বৃদ্ধাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরদিন মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজ-খবর নেন।
একই সঙ্গে বৃদ্ধ মনোয়ারা বেগমকে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে তার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেন এসপি সাইফুল ইসলাম।
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি ও অপরাধ) মোল্লা আজাদ হোসেনসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এমএস/এসআইজে/এসও/আরআইএস