মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা আমলি আদালত-১ এ সাইদুরের ভাই বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান ও পাইক দেলোয়ার, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শেখ সুমন হাসান ও আশরাফুজ্জামান রয়েছেন।
সাইদুর জেলার কলারোয়া উপজেলার বাকশা হঠাৎগঞ্জ মাদ্রসার সুপার। তিনি সদর উপজেলার কাথণ্ডা গ্রামের মৃত দেলদার রহমানের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা সাইদুরের বাড়িতে গিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা তার নামে মামলা দেয়ার হুমকি দেন এবং বেধরক মারপিট করেন। একপর্যায়ে সাইদুরকে বাড়ির উঠানে ফেলে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এসময় এক পুলিশ সদস্য তার বুকের ওপর ওঠে দাঁড়ান। এতে আহত হন তিনি। এ অবস্থায় পাঁচ হাজার টাকা দিতে চাইলে তারা সেটা না নিয়ে তাকে থানায় ধরে নিয়ে যান।
এদিকে শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে আগে চিকিৎসা করিয়ে আনতে বলেন। এরপর তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ওইদিনই সন্ধ্যার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ১টার দিকে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে তিনি মারা যান।
এসআই আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, মামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
টিএ/এসআই