মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপির কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
নির্ভরশীল একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, শুল্ক গোয়েন্দার চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ৩১ জুলাই রাজধানীর গুলশান থানায় কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ২১, ৩২, ২(এস) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ধারা ২ (শ) এ মুসার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় (মামলা নম্বর ২৮)’।
‘এজন্য মামলার তদন্তের স্বার্থে মুসা বিন শমসেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন। তিনি যেন কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পুলিশের বিশেষ শাখাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে’।
সূত্র আরও জানায়, অবৈধভাবে ব্যবহারকৃত মুসা বিন শমসেরের রেঞ্জ রোভার গাড়িটিতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি ও সুইস ব্যাংকে থাকা ৯৬ হাজার কোটি টাকার অস্বচ্ছ হিসাব দাখিলের কারণে শুল্ক গোয়েন্দা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। ভোলা বিআরটিএ’র কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন করান তিনি।
মুসা বিন শমসেরের গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দা অভিযান চালিয়ে গত ২১ মার্চ রেঞ্জ রোভার গাড়িটি জব্দ করে। গাড়িটি কার্নেট সুবিধায় আনা হলেও এ সুবিধার অপব্যবহার করে এবং ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছিলেন।
থানায় মামলার আগে মুসার বিরুদ্ধে ঢাকা কাস্টমস্ হাউসেও শুল্ক ফাঁকির মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা। একই সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সংযোগ থাকায় তা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এসজে/এএসআর