নেত্রকোনার ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নে মানব কল্যাণকামী অনাথালয়ের নৃত্যশিল্পীরা এখন প্রতিরাতেই অনুশীলন করছে। আর ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সব সদস্যই আশ্রম সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
আসন্ন দুর্গাপূজা উদ্যাপনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অনাথ শিশুরা। ৩৩ কাঠা ৭ শতাংশ ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত অনাথালয়টির প্রতিটি আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রঙে রঙে সাজিয়ে তুলছে শিশুরা।
শতাধিক শিশু নিজেদের পারদর্শিতায় পূজার ডেকোরেশন, আলোকসজ্জা নিজেরাই করে থাকে প্রতি বছর। এজন্যে বাইরের কোনো শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না।
অনাথালয়ের সদস্য রুমি মালাকার ও তিথি মারমা বাংলানিউজকে জানায়, প্রতি দুর্গাপূজায় তিন দিনব্যাপী নিয়মিত অনুষ্ঠানসূচি থাকে। নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, মঞ্চ নাটক ও যাত্রা পরিবেশিত হয়। অনাথালয়ের সদস্যরা স্বরচিত কবিতা, গান নিয়ে প্রতিটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে এসে ভিড় করেন।
থুই মিউ মারমা ও থুই নুচিং মারমা জানায়, ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দীপনায় দুর্গাপূজা উদ্যাপন করা হয়। অনাথালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নিত্যানন্দ গোস্বামী নয়ন ও পরিচালক তার সহধর্মিনী নিশা দেবী তাদেরকে নতুন জামা-কাপড় দিয়ে থাকেন। এতে দ্বিগুণ হয়ে যায় পূজার আনন্দ।
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক কখনো কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দেন না। অনাথালয়ের ধর্ম ভেদা-ভেদহীন সবাই মিলে-মিশে একটি পরিবারের মতোই বসবাস করে বলেও জানিয়েছে শিশুরা।
সুরমিলা কোচ ও রাতু আই বাংলানিউজে জানান, আশ্রমের খাবার-দাবার, পড়ালেখা থেকে শুরু করে সব ধরনের খরচ বহন করেন অনাথালয় কর্তৃপক্ষ।
অনাথালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নয়ন গোস্বামী জানান, দুর্গাপূজা উদ্যাপনে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন শুধু মর্ত্যে দশভূজা মা দুর্গাদেবীর আসার অপেক্ষা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এএসআর