শহরের মধ্য দিয়ে এখনো কাজ চলতে থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, গাড়ির যাত্রী ও চালকেরা। বৃষ্টি নামলে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায় আবার বৃষ্টি না হলে ধুলোবালুর রাজত্ব!
মাদারীপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদারীপুর-শরিয়তপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ডিসি ব্রিজ থেকে কাজিরটেক ব্রিজ পর্যন্ত ১৮শ’ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস মো. ইউনুস এ্যান্ড ব্রাদার্স।
চলতি বছরের মে মাসের ১২ তারিখে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ১৮শ’ মিটার কাজের ৭শ’ মিটার অংশ শহরের ভেতরে হওয়ায় সড়কটির খানা-খন্দর কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী, চালক ও শহরবাসী। সড়কটির অনেক অংশে পিচ উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, লেগে থাকছে যানজট।
এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন এমন অনেক ব্যক্তিই অভিযোগের সুরে বলেন, শহরের চারপাশ ঘিরে সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সড়কের কাজ ধীরগতিতে চলমান থাকায়, ধুলোবালুতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সড়ক দিয়ে চলাচলেও ঝুঁকি বাড়ছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।
গাড়ি চালকেরা বলেন, সড়কের করুণ অবস্থায় গাড়ির অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়। তাছাড়া ছোট-খাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মো. ইউনুস এ্যান্ড ব্রাদার্সের প্রতিনিধি রাজীব মাহমুদ কাওসার বলেন, সড়কটির পাশে ড্রেনেজ’এর কাজ চলায় সড়কের নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আমরা নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। ১৮০০ মিটার সড়কের ১১০০ মিটার কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। বাকি কাজটুকু দ্রুত শেষ করতে কাজ চলমান রয়েছে। ’
মাদারীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, সড়কটি ২৪ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৩৬ ফুট করা হচ্ছে। এতে নির্মাণ কাজের সামান্য ধীরগতি হচ্ছে, তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ করার চেষ্টা চলছে। এজন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। এছাড়া সড়কের দুই পাশে ড্রেনেজের কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সর্তক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ