সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক অন্যরা হলেন-প্রধান খাদেম কালীবাড়ি গ্রামের মোন্তাজ খানের ছেলে আব্দুল মান্নান খান, জবেদ আলী খানের ছেলে ইউনুছ খান, আব্দুল করিমের ছেলে আলামিন ওরফে সবুজ ও কালমেঘা ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের কাছেম মোল্লার ছেলে মনজু মোল্লা।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জিয়াউল হক বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক মাস ধরে আব্দুল করিম এলাকায় চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এমন একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাড়িতে গিয়ে আব্দুল করিম (গোলাপ জল হুজুর) সহ ৫ সহযোগীকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসা ও প্রতারণা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আব্দুল করিম ক্যান্সার, গ্যাস্টিক ও বিভিন্ন ধরনের ব্যথা এবং রোগ থেকে মুক্তির জন্য গোলাপজল ও আপেল খেতে বলেন। কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী করিম খান সম্প্রতি স্বপ্নে পাওয়া কেরামতি দাবি করে অসুস্থ লোকদের চিকিৎসা দিতে শুরু করেন। যেকোনো রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ১০ থেকে ১৫ বোতল গোলাপজলের পানি ও আপেল খেতে নির্দেশ দেয় করিম খান। করিম খানের বাড়িতে প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী আসায় ওই এলাকায় গোলাপজলের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গোলাপজলের খালি বোতল সংগ্রহ করে পুকুরের নোংরা পানি ভরে আতর মিশিয়ে গেলাপজল তৈরি এবং বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, গোলাপজল হুজুরের কাছে গিয়ে গোলাপজলের পানি ও আপেল খেয়ে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন বলে জানা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাথরঘাটা কেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকসহ থানায় ভিড় করা অসংখ্য লোকজন দাবি করেন, তারা হুজুরের কাছে গিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন।
আব্দুল করিম খান বলেন, আমি কোনো ঝাড় ফুঁক দেই না। স্বপ্নে আমি মানুষকে চিকিৎসার জন্য গোলাপজলের পানি ও আপেল দেওয়ার নির্দেশনা পেয়েছি। সেই কারণেই আমার কাছে কোনো রোগী এলে ওই আপেল এবং গোলাপজল খেতে বলি। আমি কোনো টাকা পয়সা নেই না।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ