ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে গুদামে মিললো মজুদ ধান-চাল, জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
রাজশাহীতে গুদামে মিললো মজুদ ধান-চাল, জরিমানা রাজশাহীতে গুদামে মিললো মজুদ ধান-চাল। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহী নগরীর বিসিক শিল্প এলাকার কয়েকটি রাইস মিলের গুদামে মজুদ করা ধান-চাল পাওয়া গেছে। চালের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পালের নেতৃত্বে বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।  

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, অভিযানে বিসিক এলাকার আসলাম রাইস মিলের গুদামে এক হাজার ২৮৫ বস্তা ধান ও হা-মীম এগ্রো ফুড নামে একটি রাইস মিলের কয়েকটি গুদামে ৪ হাজার ২৯ বস্তা চাল মজুদ পাওয়া যায়।

 

অভিযানে ওই দুই চাল কলের কোনো লাইসেন্স না থাকার বিষয়টিও জানতে পারেন কর্মকর্তারা। পরে এ ঘটনায় আসলাম রাইস মিলের স্বত্ত্বাধিকারী আসলাম তোহা ও হা-মীম এগ্রো ফুডের ব্যবস্থাপক ফয়সাল হোসেনকে আটক করা হয়।  

পরে রাতে তাদের রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদের দায়ে রাতে আসলাম রাইস মিলকে ৫০ হাজার এবং হা-মীম এগ্রো ফুডকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

এ সময় রাইস মিল দু’টির পক্ষ থেকে জরিমানার টাকা পরিশোধ করা হলে আটক দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।  

কর্মকর্তারা জানান, আগামী একসপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত মজুদ করা ধান-চাল বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য মিল মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল সাংবাদিকদের বলেন, মিল দু’টিতে তিন-চারগুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ করা হয়েছিল। এভাবে ধান-চালের মজুদ করার এখতিয়ার মিল মালিকদের নেই। তারা অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ ধান ও চালের মজুদ করেছেন। চালের কৃত্রিম সঙ্কটে ও দাম বৃদ্ধির জন্য এরাও দায়ী।

রাজশাহী সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, জেলায় ৩২২টি মিলের লাইসেন্স আছে। এ ধরনের মিল পরিচালনা করতে হলে সরকারি লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু হা-মীম এগ্রো ফুড ও আসলাম রাইস মিলের কোনো লাইসেন্স নেই।  

‘লাইসেন্স থাকলে তাদের মজুদের তথ্য খাদ্য অফিসে সরবরাহ করতে হতো। ফলে মিল মালিকরা ধান-চালের অতিরিক্ত মজুদ করতে পারতেন না। এ জন্য তারা লাইসেন্সই করেননি। তারা আইনত অপরাধ করেছেন। এজন্য তাদের অর্থ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। ’

জনস্বার্থে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান ভবিষ্যতেও চলবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এ সময় রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে তাবাসসুম ও রহিমা সুলতানা বুশরা, জেলা খাদ্য অফিসের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম, বোয়ালিয়া থানা খাদ্য অফিসের পরিদর্শক মীর্জা জাকারিয়া আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
এসএস/আরআইএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।