তিনি বলেন, তারা (মিয়ানমার) তাদের নিজেদের জনগণকেই মারছে। এর মধ্যে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং নগদ সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
অ্যান সিওং দো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক গুণাবলী ও সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। শরণার্থীদের সাহায্যে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য সারা বিশ্ব সম্প্রদায়কেও সহায়তার হাত বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান গণহত্যা বন্ধের লক্ষ্যে সে দেশের সরকারের ওপর বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবতার স্বার্থে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে খাদ্য ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য সাহায্য দিচ্ছে। কিন্তু সীমিত সম্পদের দেশে এই লাখ লাখ শরণার্থীকে অব্যাহতভাবে সাহায্য যোগান দেওয়া কঠিন। পুরনো শরণার্থীর সঙ্গে আরও প্রায় পাঁচ লাখ নতুন রোহিঙ্গা যোগ হয়েছে, এদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। এদের মধ্যে কয়েক হাজার সন্তানসম্ভবা নারীও আছে। তাদের খাদ্য, আশ্রয় কেন্দ্র যোগানসহ চিকিৎসা সহায়তা দিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে সেখানে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ তে উন্নীত করা হচ্ছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে। ওই অঞ্চলের ৩০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সংস্কার করা হচ্ছে শরণার্থীদের চাপ সামলাতে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিন্দনীয়। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। এ জন্য বিশ্বনেতাতের মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
আরএম/এমজেএফ