চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
২২দিনের এ অভিযানে এসব এলাকায় মাছ আহরণ, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক বছর জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের কয়েকটি অভয়াশ্রমের মধ্যে চাঁদপুরের ১শ’ কিলোমিটার এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে ১ অক্টোবরের আগে জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির করতে সভা, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করা হবে।
কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য রোববার (১৭ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুল হাই বাংলানিউজকে বলেন, সরকার জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় সফল অভিযান পরিচালনা করায় মানুষ আবার ইলিশের সুফল পেতে শুরু করেছে। কাজেই এবারের নিষেধাজ্ঞার সময় সবাইকে মা ইলিশ রক্ষার আন্দোলনে নামতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবে না। যদি কোনো জেলে মাছ ধরতে নদীতে যায়, তাহলে তাদের সরাসরি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। সেই ব্যক্তির জেল হবে, জামিন পাবে না এবং জব্দ করা জাল ও নৌকা সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করা হবে।
যাদের প্ররোচনায় জেলেরা মাছ ধরতে যাবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান ডিসি আব্দুল হাই।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
জিপি