বাসের ভাড়া নির্ধারণ না করেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হচ্ছে- এ অভিযোগে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এ রুলের প্রেক্ষিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর একমাসের স্থিতিবস্থা দেন।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টেন্ডার কমিটির প্রধান বিআরটিসি’র পরিচালক (অর্থ) আমজাদ হোসেইন বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্থিতিবস্থা ঠেকাতে পদক্ষেপ নেবো। ৫ রুটের ভাড়ার বিষয়টি আগে থেকেই ঠিক করা। আশেপাশের একটি পক্ষ এটি ভুলভাবে আদালতে উপস্থাপন করেছেন। আদালত যে রুল দিয়েছেন, তার জবাব দিয়েছি। এখন স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে আপিল করা হবে’।
বিআরটিসি’র নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘টেকনিক্যাল কমিটি দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়াও সম্পাদন করবো’।
বিআরটিসি’র আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হাইকোটের এ আদেশ স্থগিত করতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যেতে হবে। সে পদক্ষেপই এখন নেওয়া হবে। রুলের জবাবে বিআরটিসি থেকে যে কাগজপত্র হাইকোর্টে দেওয়া হয়েছে, তাতে ৫টি রুটেরই ভাড়া ঠিক আছে। টেন্ডার হলে সঠিকভাবে কাউকে এ রুটে অপারেটর নিযু্ক্ত করা যাবে। উচ্চ আদালতের অবকাশকালীন ছুটি শেষ হলেই এর শুনানি হওয়ার কথা’।
আদালতে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, ওই টেন্ডার প্রক্রিয়ার ওপর একমাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। এখন এ বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম চালানো যাবে না।
হাইকোর্টে আবেদনটি করেছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
আবেদনে বলা হয়েছিলো, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা, ঢাকা-খুলনা-কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা, ঢাকা সিলেট-শিলং-গোয়াহাটি-ঢাকা রুটে ভাড়া ঠিক না করেই অপারেটর প্রতিষ্ঠান নিয়োগে টেন্ডার চলছে। কিন্তু আইন অনুসারে ভাড়া নির্ধারণ না করে এ ধরনের টেন্ডার প্রক্রিয়া সঠিক নয় বলে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন জানান মোজাম্মেল হক।
টেন্ডারে অংশ নেওয়া বাস অপারেটরদের অভিযোগ, টেন্ডার ছাড়াই যে পক্ষ এখন বাস চালাচ্ছেন, তারা এ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটিয়ে সরকারের বিপুল রাজস্ব ফাঁকি দিতে চাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
এসএ/এএসআর