ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নীলফামারীতে খড়ের দাম বাড়ছেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
নীলফামারীতে খড়ের দাম বাড়ছেই খড়। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী:  নীলফামারীর সর্বত্র গোখাদ্য খড়ের কদর বেড়েছে। সাম্প্রতিক বন্যার পর জেলার প্রতিটি উপজেলায় গোখাদ্য সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারি ও গরু লালন-পালনকারীরা। গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও খড়ের আকাশছোঁয়া দাম ভাবনায় ফেলেছে তাদের।

নীলফামারী জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর উপজেলার সর্বত্র গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এবারের ভয়াবহ বন্যায় ঘাস মরে গেছে, কোথাও পচে গেছে।

বিকল্প খাদ্য হিসাবে বাজারে প্রচলিত খাবারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। চোকর, ভুষি, খৈল, চালের খুদ, চানার খোসা প্রভৃতির দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় কুলাতে পারছেন না তারা।

অনেকে পশু খাদ্য কিনতে না পেরে গরু হাটে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর চওড়া পালপাড়ার কৃষক আবেদ আলী জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় তার এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে গরুর ঘাস পাওয়া যাচ্ছে না। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও গোখাদ্য খড় কেনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাড়িতে লালন-পালন করা দুটি গরু বিক্রি করে দেওয়ার জন্য ঢেলাপীর হাটে এনেছেন।

খড়।  ছবি: বাংলানিউজওই হাটে দেখা গেল মণ দরে খড় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিমণ ৪০০ টাকা হিসাবে খড়ের ভাগা দেওয়া হয়েছে। আর এক ট্রলি খড় বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। খড় বিক্রেতা রহিমুদ্দিন জানান, দ্বিগুণ দাম দিয়েও খড় পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ এবারের ভয়াবহ বন্যায় খড় ও কাড়ি প্রায় পচে গেছে।

বন্যার পর কাঁচা ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য কাড়ি ছাউনি হিসেবে ব্যবহারের জন্য চাহিদা বেড়েছে। গরুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহারে খড়ের চাহিদা ও দাম আকাশছোঁয়া। এদিকে ক্ষেতের ধানও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগাম লাগানো ধান কম করে হলেও ২০/২৫ দিনের আগে কাটা যাবে না। তাই নতুন ধানের আঁটিও পাওয়া যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।