রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে একযোগে এসব কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সমমান, এডিশনাল রেজিস্ট্রার ও সমমান এবং বিভাগীয় প্রধানদের পদোন্নয়ন জাতীয় বেতন স্কেল’ ২০১৫ অনুযায়ী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২১ আগস্ট থেকে আন্দোলন করছে বাকৃবি অফিসার পরিষদ। আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোববার সকালে ওই চার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন অফিসার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অফিসারদের পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য সীড সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি রোববার সকালে ভিসি বরাবর তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
রোববার দুপুর ১টায় কমিটির দেয়া এ প্রতিবেদন সম্পর্কে অফিসারদের অবগত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান খোকন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই কমিটি জাতীয় বেতন স্কেল’ ২০১৫ অনুযায়ী অফিসারদের যৌক্তিক বেশ কিছু আন্দোলনের পক্ষে সুপারিশ করেছেন। কিন্তু অফিসার পরিষদ তাদের কথায় আশ্বস্ত না হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেখতে কিংবা ভিসি ও প্রো-ভিসির কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার দাবি করেন। একই সাথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন অফিসার পরিষদের সভাপতি আরিফ জাহাঙ্গীর।
এবিষয়ে বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, তারা (অফিসার) রিপোর্ট দেয়ার যে দাবি জানিয়েছিলেন সেটি পূরণ হয়েছে। তারপরও সরকারি প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলানো সম্পূর্ণ অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূতি ক্ষুণ্ন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
টিএ