রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চু মণি চাকমা ও পৌর মেয়র রফিকুল আলমকে খাগড়াছড়িবাসীর কাছে নতুন করে পরিচিত করার কিছু নেই।
‘স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করা রফিক এখন আওয়ামী লীগের পরিচয় দেন। তিনি এখন হাত মিলিয়েছেন ইউপিডিএফের সঙ্গে, যারা ২০১৩ সাল খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। ’
চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। কিন্তু পার্বত্য জেলা পরিষদ হচ্ছে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। এখন উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র পরিষদের উন্নয়নের ভাগ চান। যেটি আমাদের দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর একটি নিয়োগে নির্ধারিত মৌখিক পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র সরকারি প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বে থেকে আরেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ঘেরাও কর্মসূচি দিয়ে সরকারি কাজকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। যা জনপ্রতিনিধি হিসেবে পাঠ করা শপথের পরিপন্থী।
‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক শূন্যপদের সংখ্যা ৩৫৮টি। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ হবে ১০৭টি। বাকি পথগুলো সাধারণ। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে ৩৮জন। সেক্ষেত্রে মৌখিক পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারলেই সব প্রার্থী চাকরি পেতে পারেন। অবশিষ্ট ৬৯টি পদ সংরক্ষণ করা হবে। ’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, পরীক্ষার ফল অনুযায়ী লক্ষ্মীছড়িতে সাধারণ কোটায় ১৫টি পদের বিপরীতে ৬০জন নেওয়া যেত। কিন্তু প্রার্থী পাওয়া গেছে ২৪জন। একই ভাবে মানিকছড়িতে ৩০টি পদের বিপরীতে ১২০জন নেওয়ার কথা থাকলেও প্রার্থী পাওয়া গেছে ৬১জন। শুধু সদর উপজেলায় ৩০টি পদের বিপরীতে ১৩৩জন প্রার্থী পাওয়া গেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন উপজেলায় সকল সম্প্রদায়ের লোক না থাকায় প্রার্থী কম উর্ত্তীর্ণ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান, জেলা পরিষদ সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা, সতিশ চন্দ্র চাকমা, নির্মলেন্দু চৌধুরী, শতরুপা চাকমা, নিগারা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এমএ/