ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাত ৮টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
রাত ৮টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে

ঢাকা: শারদীয় দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্ত দেবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রাত ৮টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে বলেছেন।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে একথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো, অনেক নিরাপদ।

গত বছর ২৯ হাজার মণ্ডপ থাকলেও এবার তা বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ৭৭টি। সারা দেশে উৎসবমুখ পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। হিন্দুদের অনুষ্ঠান হলেও আমরা সবাই যোগ দেবো।  
 
‘পূজামণ্ডপের শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় সহযোগিতা করবে। পূজার বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবো। আমাদের যা প্রয়োজন করবো, মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করবো। কেউ যদি বাধা দিতে আসে তাহলে ব্যবস্থা নেবো। ’
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীতে ২৩১টি পূজামণ্ডপ স্থাপিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় বেশ কয়েকটা বেশি। রমনা, কালিবাড়ি, কলাবাগান, রামকৃষ্ণ মিশন, সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসি টিভি ব্যবহারের জন্য প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। আর্চওয়ে না হলেও মেটাল ডিটেক্টর প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে।
 
তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো। ঢাকেশ্বরীতে বিকেল তিনটার মধ্যে যাবেন। বিসর্জন রাত ৮টার মধ্যে শেষ করতে অনুরোধ করেছি। পূজা উদ্যাপন কমিটি সময় মেইনটেন করবেন বলে জানিয়েছে।
 
ঢাকা মহানগর পুলিশের উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপিত হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও যাতে সুশৃঙ্খলভাবে হিন্দুসম্প্রদায় পূজা উদযাপন করতে পারে সে জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
   
সারা দেশে আইজিপির তত্ত্বাবধানে একটি নিয়ন্ত্রণ সেল থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেখানে যেখানে প্রয়োজন ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি ভলান্টিয়ারও কাজ করবে।  
 
পূজা চলাকালীন রাস্তায় কোনো মেলা থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যানজট যেন না হয়। আজানের সময় পূজামণ্ডপ থেকে কোনো রকম বাদ্য যাতে না বাজে। পূজা চলাকালীন আতশবাজি একদমই বন্ধ করার জন্য বলেছি, কারণ আতশবাজি বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। মাদক সেবন না করার জন্যও নিষেধ করেছি। সে ব্যাপারে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরও কেয়ারফুল।
 
পুলিশের পাশাপাশি এক লাখ ৬৮ হাজার আনসার নিরাপত্তায় কাজ করবে। ফায়ার সার্ভিস প্রয়োজনীয় কাজ করবে। বিসর্জনের জন্য নৌপুলিশ, কোস্টাগার্ড, ডুবুরিরা থাকবে।
 
আশুরার শুরুর দিন বির্সজনের দিন হওয়ায় গতবারের মতো এবারও সুন্দরভাবে পালনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
পূজামণ্ডপে সাধারণ মানুষের ঢল নামায় রাস্তাঘাট এবং পূজামণ্ডপের পাশে যেন প্রয়োজনীয় বাতি থাকে বে ব্যাপারে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি রাস্তাঘাট সংস্কার ও ডাস্টবিনগুলো থেকে যেন দুর্গন্ধ না আসে সে জন্য বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।