এজন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী সংঘটিত গণহত্যার প্রামাণ্য দলিল হিসেবে প্রকাশিত একটি পুস্তিকা সঙ্গে নিয়ে গেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ২০ পৃষ্ঠার এ পুস্তিকায় ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর যে নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল, তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে।
এটি সম্মেলনে যোগ দিতে আসা প্রতিটি দেশের প্রতিনিধিকে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দানের দাবি জানিয়ে আসছে একাত্তরের শহীদদের সন্তানদের সংগঠন ‘প্রজন্ম '৭১’।
তাদেরই একজন বাংলানিউজকে এতথ্য জানিয়ে বলেন, দেশময় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যেই সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। পাকিস্তানিরা বলে থাকে, ১৯৭১ সালে নাকি মাত্র ২০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, ১৯৭১-এর দীর্ঘ নয় মাসে ৩০ লাখেরও বেশি বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল। এ পুস্তিকায় তারই অকাট্য প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য ২৫শে মার্চ জাতীয়ভাবে ‘গণহত্যা দিবস' হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা৷ এবার দাবি উঠেছে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটিকে স্বীকৃতি জানানোর৷ সে লক্ষ্যেই সক্রিয়ভাবে উদ্যম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
কেজেড/জেএম