ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘ষড়যন্ত্র করে আমাকে বিরত রাখা যাবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
‘ষড়যন্ত্র করে আমাকে বিরত রাখা যাবে না’ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ কমপ্লেক্সে আর্থিক সহায়তা ও শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মুন্সীগঞ্জ থেকে ফিরে: কেউ যদি মনে করে আমাকে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে বিরত রাখবে। তারা ভূুল চিন্তা করবে। যে ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় থেকেছে। জীবনের ভয় মুহূর্তে মুহূর্তে তারপরেও এগুলো থেকে বিরত হয়নি।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শনিবার (১৬ নভেম্বর) মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের দু’টি উপজেলায় নগদ অর্থসহ শাড়ি বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

দুপুরে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ স্থানীয় পূজা মন্ডপে আর্থিক সহায়তা ও শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিকেলে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনেও এ অনুষ্ঠোনের আয়োজন করা  হয়।

দুই অনুষ্ঠানে লৌহজং উপজেলার ৩২টি এবং টঙ্গীবাড়ি ইউনিয়নের ৪৭টি পূজা মন্ডপের জন্য নগদ আর্থিক সহায়তা এবং দুঃস্থ হিন্দুদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদযাপন পরিষদের লৌহজং সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র দাস।

অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘১৫ আগস্টের গণভোজে অর্থ দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ অফিসে (স্থানীয়)এসেছিলাম। দুই লাখ টাকা দিয়েছিলাম। সেখানে কিছু লোক আমার সে অনুদান নেয়নি। তারা ভেবেছিলো আমাকে এভাবে বিদায় করে দেবে। আমি সেই গণভোজ করেছিলাম ব্যক্তিগত উদ্যোগে। পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে। ’

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে আমাকে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে বিরত রাখবে। তারা ভুল চিন্তা করবে। যে ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় থেকেছে। জীবনের ভয় মুহূর্তে মুহূর্তে তারপরেও আমি এগুলো থেকে বিরত হয়নি। কাপনের কাপড় দেওয়া হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা অন্য ভয় দেখিয়ে আমাকে বিরত করবে। এ ভয়টা কেন মনে হলো-কারণ সবাই’র সঙ্গে যুক্ত করতে চাই নিজেকে। অন্যান্য যারা আছেন ক্ষমতাসীন, যারা আওয়ামী লীগকে কুক্ষিগত করতে চান তাদের প্রতি আমার বক্তব্য হলো ‘মুক্ত করো হে বন্ধন’। আওয়ামী লীগকে বন্ধ করে রেখো না। এটা বঙ্গবন্ধুর দল। শেখ হাসিনার দল। ’

মাহবুবে আলম বলেন,‘ যে নির্বাচন করেত চান না কেন, আমি হই অন্য কেউ হোক তাকে আসতে দেওয়া হোক। তারা বিচার বিবেচনা করুক কে উপযুক্ত। বন্ধ করে রাখার ক্ষমতা কারো নেই। কাউকে আবদ্ধ করে রাখা যাবে না। আবদ্ধ করা উচিত না। ’

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘দেশ অসাম্প্রদায়িক। এ ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য বিভিন্ন সময় আইনি লড়াই করেছি। লড়াই করে যাচ্ছি। এ দেশ সবার। সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে। সামনে দুর্গাপূজা। এটা হিন্দুদের। কিন্তু সবাই আনন্দ করবো। এ আনন্দের মাঝখানে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে পূজামন্ডপের জন্য কিছু অর্থ ও মা-বোনদের জন্য কিছু সীমিত সংখ্যক শাড়ি দেওয়া হচ্ছে। বহুদিন যাবত আমার হলদি ইউনিয়নে মহালয়ার দিন বস্র বিতরণ করি। এটা সামান্য কিছু। তবে এর মাধ্যমে নিজেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত করলাম। ’

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে মাহবুবে আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দরকার হলে ভাগাভাগি করে থাকবো। এ কথাটি যে বলে তারতো নোবেল পাওয়া একান্ত প্রয়োজন। যখন ড. ইউনূসের মামলা হয় তখন আমি বলেছিলাম এ দেশে শেখ হাসিনাই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার  যোগ্য। কারণ তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি করেছিলেন। এটা আজ প্রমাণিত হয়েছে। ‘অং সান সূ চি নোবেলের যোগ্য নয়’। তিনি নারী পুরুষদের হত্যা করে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছেন। আর যিনি ভাগাভাগি করে থাকার কথা বলেছেন। তারই (প্রধানমন্ত্রী) নোবেলের পাওয়া উচিত। ’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- লৌহজং উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল আলম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. মো. আবু ইউসুফ  ফকির, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাকির খান, লৌহজং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহবুবুল আলম, লৌহজং আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান প্রম‍ুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
ইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।