ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করতে বিএনপির সদিচ্ছা বা আন্তরিকতা আছে এমন প্রমাণ আমরা এখন পর্যন্ত পাচ্ছি না। তারা এ সমস্যাকে জাতীয় স্বার্থের দিক থেকে বিবেচনা করে তা সমাধানে অবদান রাখার জন্য কতটা আন্তরিক সেটাই আগে খতিয়ে দেখতে হবে।
ওবায়দুল কাদের শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দলের এক বৈঠক শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফরে যাবে। এনিয়ে ওই প্রতিনিধি দলের নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে করা আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভক্তির সৃষ্টি করছে বিএনপি। তারা ২০ দিন পরে ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজার গেল। ত্রাণের ট্রাক সাজিয়ে মিডিয়াকে কল করেছে। মিডিয়াকে নিয়ে তারা যাবেন, কিন্তু কোনো নিয়ম মানবেন না। তারা তো প্রশাসনের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। এতো
বিক্ষুব্ধ জনসমুদ্রের মধ্যে তারা বিশ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে যাবে! এতে সেই ত্রাণের না কোনো সিকিউরিটি থাকবে, না তাদের নিজেদের কোনো সিকিউরিটি থাকবে। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ প্রদানে কাউকে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি নিয়ম মেনে ত্রাণ নিয়ে গেলে তাদের কোনো বাধা দেয়া হবে না।
চীন সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে বিষয়ে জাতিসংঘে আলোচনা হচ্ছে, প্রসঙ্গক্রমে সেই আলোচনা তো সেখানেও (চীন সফরবকালে) অবশ্যই আসবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডনে বসে কয়েকটি দেশের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তিনি লন্ডনে বসে কথা বলছেন কিন্তু এসময় তিনি বারবার দেশে আসার তারিখ পরিবর্তন করছেন। রোহিঙ্গা সমস্যাকে যদি জাতীয় সমস্যাই বিবেচনা করেন, তাহলে দেশে থেকে সমস্যা সমাধানে কেন তিনি ভূমিকা রাখবেন না! তিনি বিদেশে বসে কথা বলছেন, কোনো দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের নেতা তো এমন হতে পারেন না।
চীন সফর করতে যাওয়া প্রতিনিধি দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য কর্নেল(অবঃ)ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অসীম কুমার উকিল, শাম্মী আহমেদ, আফজাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শ ম রেজাউল করিম, শামসুন্নাহার চাঁপা ও বিপ্লব বডুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এসকে/জেএম